চৈত্রসংক্রান্তি আজ

আজ চৈত্রসংক্রান্তি ও ঋতুরাজ বসন্তের বিদায়ের দিন। আগামীকাল রবিবার প্রথম প্রত্যুষেই বাংলা ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বিদায় জানিয়ে ১৪২৬-কে বরণ করে নেবে বাঙালিরা। পুরাতন ও গ্লানিকে পিছে ফেলে শুরু হবে আরেকটি নতুনের আবাহন। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি, যা আবহমানকাল থেকে এ অঞ্চলে বিশেষ লোকজ উৎসব বা পরবের দিন হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।

তবে অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে চৈত্রসংক্রান্তি এখন আর শুধু লোকজ উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই, এটি এখন পেয়েছে সর্বজনীন মাত্রা। তাই ঢাকাসহ সারাদেশে আজ পালিত হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তির নানা আয়োজন, যা শেষ হবে আগামীকালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনো চলে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব।

চলে হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান। বছরের শেষ এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করেন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এখানে এখনো একদল মানুষ শিব-পার্বতী সেজে খোল-করতাল-মন্দিরা বাজিয়ে কীর্তন করে ছুটে চলেন এক মহল্লা থেকে আরেক মহল্লায়। দিনটি উপলক্ষে ঢাকার অন্যান্য অংশেও আজ রয়েছে নানা আয়োজন। চৈত্রসংক্রান্তি ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দ বরণ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।

আজ বিকাল ৪টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে বিজু উৎসব, লাঠিখেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নৃত্য, ঢাক-ঢোল পরিবেশনা, লোকনৃত্য, সাইদুলের কিচ্ছা এবং অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। এছাড়া চৈত্রসংক্রান্তি পালনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে নানা কর্মসূচি। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মেলা, ঘুড়ি উৎসব, ঘুড়ি প্রদর্শনী, লাঠিখেলা, পুঁথিপাঠ, পুতুলনাচ, পালাগান, গম্ভীরা ও রায়বেশের মতো লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment